Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

Image
Title
Department of Public Library
Details

 

গণগ্রন্থাগার গণতান্ত্রিক সমাজের একটা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সমাজ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণ, অর্জিত শিক্ষার সংরক্ষণ ও সম্প্রাসারণ, স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হবার পরিবেশ সৃষ্টি, সামাজিক ও গণতান্ত্রিক চেতনা, মূল্যবোধের বিকাশ এবং সর্বোপরি আর্থ-সামাজিক প্রয়োজনে তথ্য পরিবেশন প্রভৃতি কাজে গণগন্থাগারের অনন্য সাধারণ ভূমিকার প্রেক্ষাপটে তৎকালীন সরকারের শিক্ষা বিভাগের ১০-০৫-১৯৫৫ তারিখের ১৪৯১-শিক্ষা সংখ্যক আদেশ বলে ‘‘সোস্যাল আপলিফট’’ প্রকল্পের অধীনে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক মঞ্জুরি প্রদান করা হয়। ১৯৫৮ সালের ২২ মার্চ ১০,০৪০ খানা পুস্তকের সংগ্রহ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গ্রন্থাগারটির দ্বারোন্মোচন করা হয়। ১৯৭৭ সালে গ্রন্থাগারটিকে শাহবাগ এলাকায় বর্তমান অবস্থানে নবনির্মিত ভবনে স্থানান্তর করা হয় এবং ০৬-০১-১৯৭৮ তারিখে নতুন ভবনে গ্রন্থাগার উদ্বোধন করা হয়। এ গ্রন্থাগার ব্যবস্থার মূল প্রতিষ্ঠান (Apex Organization) হিসেবে কাজ করছে।

 

বাংলাদেশ অভ্যুদ্বয়ের পর দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিক্লপনার অধীন রাজশাহীতে ১৯৮৩ সালে ১৮,৫৭০ বর্গফুট আয়তন বিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। ১৯৮২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গ্রন্থাগারটি ১১,০০০ পুস্তক নিয়ে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

 

প্রশাসনিক পূণগঠন সংক্রান্ত সামরিক আইন কমিটি (এনাম কমিটি) সরকারি গণগ্রন্থাগারসমূহ ও বিলুপ্ত বাংলাদেশ পরিষদের অধীনে জেলা ও তৎকালীন মহকুমা (বর্তমানে জেলা) পর্যায় পর্যন্ত পরিচালিত গ্রন্থাগারসমূহ (তথ্য কেন্দ্র) সমন্বয়ে গণগ্রন্থাগার অধীদপ্তর গঠনের পক্ষে সুপারিশ করে। প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের সচিবালয়ের ০৯-১১-৮৩ তারিখে ৭০০২/১/সিভ-১ সংখ্যক প্রজ্ঞাপন মূলে উক্ত সুপারিশ অনুমোদিত হয়। তারই ফলশ্রুতিতে ১৯৮৩ সালে বিলুপ্ত বাংলাদেশ পরিষদকে বিদ্যমান গণগ্রন্থাগার এর সাথে একীভূত করে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়।